পাটগ্রামে সার সংকট দেখিয়ে চড়াদামে বিক্রি : বিপাকে কৃষক

0
361

কাজী শাহ্ আলম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরকার র্নিধারিত মূল্যের চেয়ে চড়াদামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে এমন চড়াদাম আদায় করছেন দিচ্ছেন না কোনো রসিদ (ভাউচার)। বেশি দামে সার কিনেও প্রমাণসহ কারও কাছে অভিযোগও দিতে পারছেন না কৃষকেরা। ভুট্টা,গম সহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন আগাম শাকসবব্জীসহ ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষক সমাজ।
সরকারী নির্ধারীত মুল্য প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ইউরিয়া সার ৮০০ টাকার স্থলে ৮৬০-৯০০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকার স্থলে ৯০০-৯২০টাকা, টিএসপি ১ হাজার ১০০ টাকার স্থলে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকার স্থলে প্রকার ভেদে ৮৫০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে ব্যবসায়ীগন বিক্রি করছে।
বাউরা এলাকার কৃষক সোহেল রানা (৩০) বলেন,‘ সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের দাম বাড়িয়েছে। এখনো পুরোদমে ভুট্টার চাষ শুরু হয়নি তাতে বেশি দাম ছাড়া সার পাওয়া যাচ্ছে না। বিএডিসির টিউনেশিয়া টিএসপি সারের জন্য প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সারের দোকানে ঘুরেও সার পাচ্ছি না। ৩০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করবো দুঃচিন্তায় আছি। জোংড়া এলাকার বুলবুল আহমেদ বলেন’ সারের দোকানে গেলে অতিরিক্ত মূল্য ছাড়া সার পাওয়া যায় না। সারের দোকানে কয়েকদিন ধরে ঘুরে বিএডিসির টিউনেশিয়া ও এমওপি সার পাচ্ছি না।,
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন খুচরা সার ব্যবসায়ী জানান,‘ সারের ডিলারেরা সরকারি বরাদ্ধের সার বেশি দামে অন্য জেলায় বিক্রি করে । ফলে সার সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বেশি দামেও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসির) টিউনেশিয়া টিএসপি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বিএডিসির মরক্কো টিএসপি সার বাজারে সল্পতা রয়েছে। কয়েকজন পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন,‘আমরা যশোরের নওয়াপাড়ায় এবং পাবনার নগরবাড়ীর মোকাম থেকে বেশী দামে সার কিনছি। তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন’ সরকারের নির্ধারিত মূলে কৃষকের দোরগোড়ায় সার পৌছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান বলেন’, পাটগ্রামে সারের কোনো সংকট নেই তাই দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বেশি নেয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here