আব্দুল আওয়াল, মদন থেকেঃ নেত্রকোনার মদনে পর্ণোগ্রাফী মামলার বাদীর স্বামী ব্যবসায়ী আব্দুল বাতেনকে (৪৫) গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে মদন থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে আব্দুল বাতেনের নিজ বাড়ি পৌরসভার পশ্চিম জাহাঙ্গীরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই এলাকার আব্দুর রাশিদের ছেলে।
শনিবার তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর সাথে গণধর্ষণের স্বীকার ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আব্দুল বাতেনের স্ত্রী ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্ণোগ্রাফী মামলার আসামি রুবেলের বোনকে বাদীর স্বামী
আব্দুল বাতেন গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ১১ অক্টোবর রুবেলের বোন
আব্দুল বাতেনসহ দুজনকে আসামি করে নেত্রকোনা মদন কোর্টে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার রাতে মদন থানায় মামলা রজু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামি আব্দুল বাতেনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে মদন থানার পুলিশ।
পর্ণোগ্রাফি মামলার বাদী ও গণধর্ষণ মানলায় গ্রেপ্তার আব্দুল বাতেনের স্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী রুবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের
মেসেঞ্জারে আমার কাছে অশ্লিল ভিডিও পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এ ব্যাপারে বিরক্ত না করার জন্য বারবার বলার পরেও সে নিরব না হওয়ায় আমি থানায় পর্ণোগ্রাফী আইনে মামলা করতে বাধ্য হই। এই মামলার জেরে রুবেল তার
বোনকে দিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। এদিকে পর্ণোগ্রাফি মামলার আসামী রুবেলের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে
শুক্রবার থানায় গণধর্ষণ মামলা হয়েছে। ওই মামলার এজহারভূক্ত আসামী আব্দুল
বাতেনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে শনিবার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণধর্ষণ মামলার ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই দিন নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা
হয়েছে। পর্ণোগ্রাফী ও গণধর্ষণ উভয় পক্ষের দুটি মামলা তদন্তাধীন আছে।