বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত ১৫ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থী। দিন যত যাচ্ছে বাবা-মায়ের আতঙ্ক তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোন মূল্যে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অসহায় বাবা-মা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা এলাকার অপহৃত ওই কিশোরী রাংদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার কথা ছিল।
অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ০৯ সেপ্টেম্বর সকালে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়ি থেকে পায়ে হেটে রাংদিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আমার মেয়ে। এর পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারি স্কুলে যাওয়ার পথে যাত্রাপুর আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে পৌছালে স্থানীয় জুতার দোকানদার লাউপালা এলাকার রাশেদুজ্জামান বাপ্পি (৩৫) তার লোকজন নিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। পরবর্তীতে ১৩ তারিখ রাশেদুজ্জামানসহ ৭জনকে আসামী করে বাগেরহাট থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু এখনও আমার মেয়েকে খুজে পাইনি।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, রাশেদুজ্জামান বাপ্পীর ভাই হাছিব হাওলাদার, বন্ধু হরিচাঁদ দাস, মিঠু শেখ, বাবু হাওলাদার, মনিরুল, সজীব শেখ।
অপহৃত শিক্ষার্থীর মা বলেন, একবছর আগে থেকে রাশেদুজ্জামান বাপ্পী আমার মেয়েকে উত্যক্ত করত। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাইনি। শেষ পর্যন্ত সে আমার মেয়েকে অপহরণ করে ছাড়ল। যেকোন মূলে আমি আমার মেয়েকে ফিরে চাই। ১৫ বছরে মেয়েকে ছাড়া এভাবে আমি একা থাকিনি। মেয়েকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
অসহায় ওই মা আরও বলেন, রাশেদুজ্জামান বাপ্পীর দুটি বউ ও ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। এরপরেও সে এলাকার অনেক কিশোরী মেয়েদের দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে। স্ত্রীদের বাঁধা স্বত্তেও এই বাপ্পী এধরণের কাজ করে যাচ্ছে। আর এখন আমার মেয়েকে অপহরণ করে কোথায় রেখেছে কেউ জানে না। মেয়েকে ছাড়া আমি বাঁচব না।
বাগেরহাট মডেল থানার এসআই মোঃ সেরাজুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত অপহরণকারী শিকোরীকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারে সক্ষম হব।