খবর৭১ঃ
টানা দ্বিতীয়বার স্বর্ণপদক জয়ের লক্ষ্যে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে শক্তিশালী স্পেনের মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল।
ইয়োকোহামার নিশান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় ম্যাচটি। কোপা আমেরিকা হারিয়ে অলিম্পিকের সোনার মেডেল নিয়ে দুঃখ লাঘব করতে চেয়েছিল ব্রাজিল।
অন্যদিকে ২৯ বছরের খরা কাটাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের কাছ থেকে সোনা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ছিল স্পেন।
দুর্দান্ত লড়াইয়ে খেলা গড়াল ১২০ মিনিট পর্যন্ত। শেষ হাসি ফুটল ব্রাজিলিয়ানদের মুখে। অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে জয় এনে দিলেন বদলি খেলোয়াড় ম্যালকম।
১০৮তম মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বলে পাস বাড়ান অ্যান্তোনি। স্পেনের ডিফেন্সিভ হাফে বল পেয়ে যান ম্যালকম। একক প্রচেষ্টায় বাম প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বাঁ-পায়ে কোনাকুনি দুর্দান্ত এক শট নেন ম্যালকম। বল উনাই সিমনকে পরাস্ত করে জড়িয়ে যায় স্পেনের জালে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
বাকি সময়ে আর গোল শোধ করতে পারেনি স্পেন। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে টোকিও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। এ নিয়ে অলিম্পিকের পুরুষ ফুটবল ইভেন্টে টানা দ্বিতীয়বার স্বর্ণপদক পেল ব্রাজিল। ২০১৬ সালের অলিম্পিকেও ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জয় করেছিলে সেলেকাওরা।
ইয়োকোহামার নিশান স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটেই ঘটে অঘটন। মাইকেল ওইয়ারজাবালের একটি চেষ্টা রুখে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক সান্তোস। কিন্তু তার আগে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনেই আহত। দৌড়িয়ে ফিজিও এসে দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এরপর অনেকটা ছন্দহীন খেলতে থাকে দুই দলই। ঠিক কোন ফরমেশনে খেলছে বোঝা মুশকিল। মিডফিল্ড দখলে দুদলই বেশ সচেষ্ট দেখা গেলে।
এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর নবম মিনিটে হঠাৎই স্পেনের রক্ষণে হানা দেন চুনহা। তবে স্পেনের রক্ষণ সে সুযোগ দেয়নি চুনহাকে।
১১তম মিনিটে কুকুরেল্লার ভুলে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। তবে দানি আলভেস তা কাজে লাগাতে পারেননি। ১৯ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিল প্রায় ব্রাজিল। কোনোমতে নিজেই সেই বল ঠেকিয়েছিলেন ডগলাস লুইজ। ২০তম মিনিটে স্পেনের খেলোয়াড়কে মারাত্মক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন অ্যারানা। ২৫ মিনিটে গুইলার্মে আরেনার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের একেবারে কাছ থেকে শট নেন রিচার্লিসন। এত কাছে থেকে শট নিয়েও বল জালের অনেক বাইরে দিয়ে পাঠান এ ফরোয়ার্ড।