খবর৭১ঃ যারা আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন কিন্তু ভ্যাকসনি সংকটে দ্বিতীয় ডোজ পাননি, রবি বা সোমবার থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বিকালে জাপান থেকে আসা উপহারের আট লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।
অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি কার্গো প্লেনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকা আসে। দ্বিতীয় দফার উপহারের চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ পাঠানোর কথা থাকলেও মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করে। ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এরপর বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করে সেরাম। এতে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। ওই সময় যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারেননি। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। এ অবস্থার মধ্যে টিকা বিতরণের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভেক্সের আওতায় বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন উপহারের ঘোষণা দেয় সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। ইতোমধ্যে দুই চালানে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫২০ ডোজ পাঠাল টিকা দেশটি।
শনিবার টিকা গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোয় জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আমরা টিকার দিকে বেশ অগ্রগতি লাভ করেছি। আমি জাপানকে ধন্যবাদ জানাই। জাপান যে বাংলাদেশের বন্ধু তা আজও প্রমাণ করলো। স্বাধীনতার পরথেকে জাপান তার বন্ধুত্ব দেখিয়ে যাচ্ছে। সকল বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এখনও আমাদের মেট্রোরেল জাপান বানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১০ লাখ টিকা আমরা জাপানের কাছ থেকে উপহার পেয়েছি। আগস্টে আরও ৬ লাখ আসবে। ৩০ লাখেরও বেশি টিকা আমরা পাবো। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি লোক দ্বিতীয় ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অপেক্ষায় আছে। আমি মনে করি এখন সেই অপেক্ষাটা দূর হল।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আগামীকাল অথবা পরশু থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া শুরু করবো দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নায় তাদের জন্য।
গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসে। ৪ আগস্ট জাপান থেকে আরও প্রায় ছয় লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।