খবর৭১ঃ
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে কাজ করায় এখন তালেবানের লক্ষ্যে পরিণত হওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিককে বিশেষ অভিবাসন ভিসায় (এসআইভি) সেদেশ থেকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
এর আগে কয়েক হাজার দোভাষী যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার আবেদন জানিয়েছিল। সে কারণেই ধারণা করা হচ্ছে ওই দোভাষীদের পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করেন ‘অপ্রত্যাশিত জরুরি’ শরণার্থী চাহিদা মেটানোর খরচ জোগানোর জন্য।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার জন্য একই চাহিদা মেটাতে ২০ কোটি ডলারের আরেকটি তহবিল ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দোভাষীর কাজ করায় আফগান নাগরিকদের লক্ষ্যে পরিণত এবং হত্যার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
প্রায় দুই দশক ধরে নিজের দেশের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে কয়েক হাজার আফগান নাগরিক। তারা ছিল দোভাষী। তালেবানদের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে তারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’র নামে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই অসম যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় দোভাষীরা।
২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে হাজার হাজার আফগান দোভাষী হিসেবে কাজ করেছে। এই সংখ্যা অন্তত ১ লাখ হতে পারে বলে মনে করা হয়। বিশ্বের সর্বোচ্চ দারিদ্রের হারের (এডিবির তথ্য অনুযায়ী ৪৭.৩ শতাংশ) দেশটিতে এই চাকরি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ছিল খুবই লোভনীয়।
নগদ ডলারের লোভে দোভাষীরা রুটিন অফিস ছাড়াও বিশেষ অভিযানে অংশ নিত। বলতে গেলে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের চোখ ও কানের কাজ করত তারা। কিন্তু আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার ঘোষণার পর পরিবার নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন দোভাষীরা।
মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের সহযোগিতা করায় তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসাবে দেখে তালেবান বিদ্রোহীরা। শুধু তাই নয়, তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করছে তারা।