খবর৭১ঃ কঠোর লকডাউনের ৫ম দিনে উত্তরায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল বেশি। আর পুলিশের মামলা ও জরিমানা ছিল কম।
সরেজমিন সোমবার সকাল থেকে ‘কঠোর লকডাউনের’ ৫ম দিনে বিগত চার দিনের চেয়ে আব্দুল্লাহপুর হাউস বিল্ডিং আজমপুর এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা গেছে।
এসময় পুলিশের কড়াকড়ি এবং চেকপোস্টে মামলা জরিমানা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। কারণ হিসেবে কঠোর লকডাউনের মধ্যে আজই প্রথম ব্যাংক খোলা ছিল। ফলে অনেকেই ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য বের হয়েছেন বলে যানা যায়।
আশকোনার বাসিন্দা সাঈদ রিমন বলেন, জরুরি প্রয়োজনে আজ তাকে ব্র্যাক ব্যাংকের জসিম উদ্দিন শাখায় আসতে হয়। কিন্তু ব্যাংকে দীর্ঘ লাইন থাকায় সেবা পেতে বেগ পেতে হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের উক্ত শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আলমগীর হোসেন যুগান্তর কে বলেন, একটানা ৪দিন বন্ধ থাকার পর আজ ব্যাংক খোলা হয়েছে এবং ব্যাংকিং সময় ও বেঁধে দেয়া। এ কারণে ই ক্লায়েন্টদের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সিরিয়ালে অনেকের সেবা নিতে বেগ পেতে হয়েছে।
মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে সামান্য কিছু খাবার ও অন্যান্য জরুরি সেবার দোকানপাট খোলা থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা কম লক্ষ্য করা গেছে।
অনেকে চুরি করে চা পানের দোকান খুলে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে দেখা গেছে।
৩নং সেক্টরে চা দোকানদার সুমী বলেন, দুপুরে পেটের তাগিদে দোকান খুলেছিলাম।পশ্চিম থানার পুলিশ এসে চায়ের কেটলি নিয়ে গেছে। এখন মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ।
আব্দুল্লাহপুর, হাউস বিল্ডিং, আজমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে তারা যানবাহন থামিয় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বাইরে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং আটক মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে।
উত্তরা পূর্ব ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আজ বৃষ্টি না থাকায় এবং ব্যাংক খোলা থাকায় আগের দিনের চেয়ে যানবাহন ও জন চলাচল বেড়েছে।
তিনি বলেন, সারাদিন চেকপোস্ট এবং তল্লাশি চালানো হয়েছে উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে আটক এবং মামলা ও জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।