খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালসহ ৬টি দেশ থেকে তুরস্কে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আমেরিকা, কানাডার তুরস্কের ট্রানজিট যাত্রীরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। অর্থাৎ, ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ভ্রমণে এখনও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টার্কিশ এয়ারলাইনসের ঢাকা কার্যালয়ের সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক অফিসার এজাজ কাদরী।
তিনি বলেন, তুরস্ক সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোনো যাত্রী তুরস্কে ভ্রমণ ও ইস্তান্বুলে প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ভ্রমণে এখনও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সেজন্য ইস্তান্বুলে ট্রানজিট নিয়ে ইউরোপ আমেরিকা কানাডা কিংবা ভিন্ন কোনো গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা।
ঢাকা-ইস্তান্বুল রুটে সপ্তাহে ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা
এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সরাসরি বিমান যোগাযোগে বাড়তি ফ্লাইটের ঘোষণা দিয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। ঢাকা-ইস্তান্বুল রুটে এখন থেকে সপ্তাহে ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে তুরস্কের পতাকাবাহী এই বিমান সংস্থা। আগামী ৭ জুলাই ২০২১ তারিখে এই রুটে বিমানের বাড়তি সিডিউল ব্যবহার করতে পারবেন আগ্রহী যাত্রীরা। ঢাকা থেকে সরাসরি ইউরোপ মহাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা একমাত্র বিমান সংস্থা হিসেবে বিগত দশ বছর যাবত বাংলাদেশে চলাচল করছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। বিশেষত ইউরোপ-আমেরিকা ও কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা সংস্থাটি তাদের দশম বর্ষপূর্তী উদযাপনের অংশ হিসেবেই সপ্তাহে দশটি ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ঢাকা কার্যালয়।
টার্কিশ এয়ারলাইনসের ঢাকা কার্যালয়ের সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক অফিসার এজাজ কাদরী জানান, নতুন সময়সূচির আলোকে সপ্তাহে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইটের পাশাপাশি রবি, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হবে ঢাকা থেকে। গ্রীষ্মকালীন সূচীর আওতায় প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট এবং রবি, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকা থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমান পাবেন যাত্রীরা।
তিনি জানান, যাত্রী সাধারনের সুস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিয়েই করোনা পরবর্তী সূচিতে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সকল দেশের সাথে মিল রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করে চলেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স সংক্রমনের পরিধি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকা দেশ গুলোতে পুনরায় বিমান চলচলের পরিকল্পনার আলোকে সপ্তাহের প্রতিদিন নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে সংস্থাটি। এছাড়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রতিটি ফ্লাইটে বিতরন করা হচ্ছে মাস্ক, সেনেটাইজার ও ওয়েট টিস্যুসহ বিশেষ হাইজেনিক কিট।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত তুরস্কের পতাকাবাহী বিমান টার্কিশ এয়ারলাইন্স ৩৩৮ বিমানের বহর নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে যাত্রী ও কার্গে বিভাগ দুটিতে। এর সদর দপ্তর ও হাব তুরস্কের ইস্তানবুলে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স তুরস্কের অভ্যন্তরে ৪১টি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ২০৭টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। যাত্রী পরিবহন গন্তব্যের হিসাবে পৃথিবীর ১ম অবস্থানে থাকা বিমানটি ১২৪টি দেশের মোট ৩০৬টি গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে। আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা স্টার এলাইয়েন্সের সদস্য টার্কিশ এয়ারলাইন্স পরপর ৬ বার ইউরোপের নাম্বার বিমান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।