খবর ৭১: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, কৃষকের অবস্থার উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে। এলক্ষ্যে বর্তমান সরকার কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। উপকারভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো কৃষি জমি পতিত রাখা যাবে না। সারা বছর বিভিন্ন প্রকার ফসল অধিক পরিমানে ফলাতে মনোযোগী হতে হবে।
সোমবার (২৮ জুন) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দুর্বার’ প্রতিপাদ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আয়োজিত খরিফ-২/২০২১-২২ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসের অধিকতর সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ চলছে। এজন্য পূর্বের তুলনায় অধিকতর মনোযোগী হয়ে সবাইকে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত হাত ধোঁয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত সহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এসময় তিনি মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম জোরদারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আব্দুল লতিফ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে খরিফ-২/২০২১-২২ মৌসুমে রোপা আমন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বড়লেখা উপজেলার ৪ শত জন কৃষকের প্রত্যেকে ০১ বিঘা রোপা আমন ধান চাষের জন্য ০৫ কেজি রোপা আমন ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট), ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদবোধন করা হয়।