সুলতান আহমেদ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় ৫ আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। রোববার বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিক নির্যাতনের ওই মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার বসাক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন- প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী (৫০), সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তার (৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানা (৩০) ও খাদেমুল ইসলাম (৫৫)।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিজানুর রহমান নামে দলিল লেখক সমিতির এক সদস্যকে আটক করে পুলিশ রোববার দুপুরে জেল হাজতে পাঠায়। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বর্তমানে পাঁচজন আসামী রয়েছে জেলহাজতে।
উল্লেখ্য, জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতি সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে হয়রানি শিকার ও জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেন তারা। গত ৮জুন দৈনিক যুগান্তর ও জাগোনিউজের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী তার পারিবারিক জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে যান। সেখানে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ এবং দলিল রেজিস্ট্রিতে সরকারি খরচের বিষয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক আব্বাস আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে দলিল লেখক সমিতি চত্বর থেকে বের করে দেয়। পরে তিনি বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রিারের সঙ্গে আলোচনা করতে তার এজলাস কক্ষে যান।
এসময় দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানার নেতৃত্বে ১০-১২ জন এজলাস কক্ষ থেকে টেনে হিচড়ে বের করে বারান্দায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিলঘুষি মেরে আহত করে তার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। যার মধ্য জমি রেজিস্ট্রি বাবদ নগদ তিন লক্ষ টাকা, ভিডিও ক্যামেরা ও একটি ল্যাপটপ ছিল। পরে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্বাস আলী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।