আবারো স্থলপথে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়লো ৮ দিন

0
282

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি: প্রতিবেশি দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ রোধে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বন্ধে আবারো তৃতীয় ধাপে ৮ দিন সীমান্ত পথে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকছে।

এর আগে প্রথম ধাপে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার জারি ছিলো গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ১৪ দিন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৯ মে থেকে ২৩ মে এবং তৃতীয় ধাপে ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থান করছিল সেসকল দেশী-বিদেশি যাত্রীরা দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ভারত সরকার ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে নানান প্রতিবন্ধকতায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি – রফতানি বাণিজ্যে মারাত্বক বিরুপ প্রভাব পড়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমদানি-রফতানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু কভিডের কারনে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা বন্ধ হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিম বঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ায় গত ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন, বাস অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিঘœ হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচাল(ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতের সাথে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রয়েছে। তবে পরিমানের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং বাংলাদেশী প্রায় ১৫০ ট্রাক পণ্য বোঝাই ভারতে রপ্তানি হতো। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির বিধি নিষেধ জারীতে বাণিজ্যের পরিমান কমেছে। ১৯ মে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৯ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পন্য। রফতানির সংখ্যা ছিল ২৮ ট্রাক পণ্য। গত ২০ মে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৫ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পন্য। আর রফতানির সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯ ট্রাক পণ্য। দিন দিন এ সখ্যা কমে আসছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব জানান, নতুন করে ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৮ দিন ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে। তবে যাদের দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকবে তাদের যাতায়াতে বাঁধা নেই। গতকাল ২১ মে ভারত থেকে ফিরেছেন ৮৭ জন বাংলাদেশি। ফেরত আসা যাত্রীদের যশোর জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here