খবর৭১ঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খাদ্যসামগ্রী চেয়ে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ফেঁসে গেছেন চারতলা ভবনের মালিক ফরিদ আহম্মেদ।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জরিমানা হিসেবে ১০০ গরিব মানুষকে সরকারি খাদ্য সহায়তার অনুরূপ প্যাকেট বিতরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, ফরিদ আহম্মেদ পৈতৃক সম্পত্তিতে চারতলা ভবনে চার ভাই চারতলা মালিক হিসাবে বসবাস করেন। ফরিদ মিনি হোসিয়ারি ব্যবসা করতেন। ব্যবসা লোকসান হওয়ায় বর্তমানে অন্য হোসিয়ারির মালিকের মাল কেটে গেঞ্জি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সরকারের উদ্যোগ সত্যি কিনা যাচাই করতে ৩৩৩-তে ফোন করেন ফরিদ আহম্মেদ। ফোন পেয়ে ইউএনও আরিফা জহুরা হাজির হন তার বাড়িতে। পরে দেখেন ফরিদ চারতলা ভবনের মালিক এবং সচ্ছল মানুষ।
আরিফা জহুরা বলেন, সরকার ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। কেউ ওই নম্বরে কল করে সংকটের কথা জানালে ইউএনও অফিসে জানানো হয়। পরে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিন দেখা যায়, খাদ্য সহায়তা চাওয়া ফরিদ চারতলা বাড়ির মালিক। যেহেতু দুষ্টুমির ছলে এমনটা করেছেন, তাই তাকে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে সরকারি সহায়তার মতো ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, লবণ ও পেঁয়াজ থাকবে।
শনিবার সকালে তার উপস্থিতিতে এ খাদ্যসামগ্রী গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান ইউএনও আরিফা জহুরা।