খবর৭১ঃ
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আসা প্রায় ৪শ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীকে এবার যশোরের বিভিন্ন হোটেলেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসাবে তারা ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে হোটেলগুলোতে অবস্থান করছেন। অনেকেরই পরিবারের লোকজনের সংস্পর্শ ছাড়াই ঈদ পার হবে। তবে ঈদের দিন তাদের সেমাই, পোলাও, মাংসসহ উন্নত খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ১ মে এবং পরবর্তীতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের ঈদের দিন হোটেলেই থাকতে হবে। আর ৩০ এপ্রিল দেশে ফেরত আসাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে সম্ভাব্য ঈদের দিন (১৪ মে)। এখন পর্যন্ত আসা যাত্রীদের হিসাবে ঈদের দিন হোটেলেই থাকতে হচ্ছে ৩৯১ জনকে। আর ঈদের দিন ছুটি মিলছে ১০১ জনের। ঈদ একদিন আগে হলে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৩ মে) এদেরও হোটেলেই হবে ঈদ।
যশোরের জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত ১৫ দিনে (২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে দুই হাজার ৬৯৯ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। এদের মধ্যে যশোর জেলায় অবস্থান করছে এক হাজার ১৮১ জন। যশোর শহরের বিভিন্ন হোটেলে ৪৬৭, বেনাপোলে হোটেলে ৪৩৮, গাজীরদরগায় ১৪০, যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১০১, অন্যান্য ক্লিনিকে তিন ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে পজিটিভ ১৩ জনসহ ৩২ জনকে রাখা হয়েছে। ভারতফেরত রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য যশোর জেলায় ২৯টি হোটেল রিক্যুইজিশন করেছে জেলা প্রশাসন।
যশোরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ১ মে বা তার পরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের মধ্যে যারা হোটেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন; তাদের ঈদ হোটেলেই উদযাপন করতে হবে। তাদের নিজেদের, স্বজনদের এবং মানুষ ও দেশের প্রয়োজনেই ঈদের দিনও তাদের হোটেলে থাকতে হবে। শুধু তারা নয়, কোয়ারেন্টিন বা করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা, কর্মচারীদেরও কিন্তু বাইরেই ঈদ করতে হবে। ফলে কোয়ারেন্টিনে যারা আছেন, সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরে গেলে পরের ঈদ স্বজনদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারবেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্টযাত্রীদের জন্য ঈদের দিন সেমাই, পোলাও, মাংসসহ উন্নতমানের খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাংলাদেশিদের এই খাবার সরবরাহ করা হবে। হোটেল সিটি প্লাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের হোটেলে থাকা পাসপোর্টযাত্রীদের তারাই এ খাবার সরবরাহ করবে। এছাড়া অন্যান্য হোটেলের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।