বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট শহরের পেয়াজ পট্রির সুমন বেকারির জ¦ালানির ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আজিম শেখ নামে এক কর্মচারির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরের পেয়াজপট্টি এলাকায় রমেশ সাহার মালিকানাধীন সুমন বেকারির জ¦ালানির ঘরে অগ্নিকান্ডে ওই কর্মচারির মৃত্যু হয়। অগ্নিকান্ডে সুমন বেকারির বিপুল পরিমান জ¦ালানি পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আজিম বাগেরহাট সদর উপজেলার কোন্ডলা গ্রামের এমদাদ সরদারের ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত দশটা ২৫ মিনিটের দিকে বাগেরহাট শহরের পেয়াজপট্টি এলাকায় রমেশ সাহার মালিকানাধীন সুমন বেকারির জ¦ালানি রাখার দোতলার টিনশেড ঘরে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেহিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজন এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর পর বেকারির ভেতর থেকে আজিম নামে এক কর্মচারির অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতে খাবার খেয়ে আজিম নামে এই কর্মচারি কারখানার জ¦ালানি রাখার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর সে আর ওই ঘর থেকে বের হতে না পারায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের জেষ্ঠ্য স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, শহরের একটি কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত সোয়া দশটার দিকে ফায়ার সার্ভিস সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার পর পানি ছিটিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় বেকারির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার দোতলার টিনশেডের ওই ঘরে বিপুল পরিমান তুষকাঠ ও কাঠের গুড়ি রাখা ছিল। ওই জ¦ালানি সব পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান,ওই জ¦ালানি রাখার ঘরে একটি বৈদ্যুতিক মটর রয়েছে। ওই মটরের বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।