খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ভাইরাসটি প্রতিরোধে বইমেলাসহ অন্যান্য মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় এর বাইরেও বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। যা দ্রুত সরকারকে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ৩০ নভেম্বরের পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। কয়েকদিন ধরে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মৃত্যুর তালিকাটাও দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মহামারির নতুন ধাক্কা আসার এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
করোনা রোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাগুলোকে স্বাগত জানালেও এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়ার পরামর্শ দেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এছাড়াও হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যাসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিইউতে শয্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে এলাকায় রোগীর চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে এই কমিটি।
করোনার জন্য পরীক্ষা করতে আসা মানুষ যাতে সহজে সেবা পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছে পরামর্শক কমিটি। সামনে করোনা পরীক্ষার চাহিদা বাড়তে পারে সেটি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির জন্য বলেছে কমিটি।
পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা নিয়ে ইতিমধ্যে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতি প্রকৃতি বোঝার জন্য জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করা দরকার বলে মনে করে কমিটি। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করতে বলেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।