খবর৭১ঃ করোনা মহামারির সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজের ছুটির মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন তারিখ অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে থেকে শুরু হবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। তবে অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এজন্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে যেটুকু বলতে পারি এখন যে অবস্থা, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আমরা খুলছি ঈদের পরে, আমাদের হয়তো বা এই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক হয়তো সেই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আপনারা জানেন গত বছর থেকে যেটা চেষ্টা করছি, সেটি হলো আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবকসহ সবার স্বাস্থ্যরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তা। যেভাবে আমাদের দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে আমরা আমাদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব। পর্যায়ক্রমে আমরা খুলবো। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা বিশ্বে নতুন যে ঢেউ এসেছে, তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেখে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক মাস পর কওমি মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দিলেও খুলেনি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার তারিখ ঘোষণা করলেও করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো মন্ত্রণালয়।