খবর৭১ঃ
ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ভারতে। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনের তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালে এই নিয়ে তৃতীয়বার নতুন সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল দেশটিতে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে লকডাউনে ফিরছে মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সবচেয়ে বড় শহর নাগপুরে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। প্রাথমিকভাবে ১৫ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
করোনার সংক্রমণ শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে ছিল আশঙ্কাজনক। তবে সম্প্রতি নতুন স্ট্রেইন ধরা পড়ায় এ রাজ্যে হুহু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে ১৪ হাজার ৩১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নাগপুরেই আছেন দুই হাজার ১৫০ জন।
এ অবস্থায় নাগপুরে ফের লকডাউনের ঘোষণা এলো। রাজ্যের ১০টির মধ্যে আটটি জেলাতেই ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিবিসি।
থাইল্যান্ডে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত : অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড।
টিকাটি প্রয়োগের পর রক্ত জমাট বাঁধার খবর সামনে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার টিকাদান শুরুর কথা থাকলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী এ কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
তবে এই সন্দেহের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিবিসি। ইউরোপের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেওয়ার কথা জানা গেছে।
তবে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বলছে, টিকার কারণেই এই লক্ষণ দেখা গেছে, তার কোনো প্রমাণ নেই। আর এর সুবিধা ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সময় টিকা নিরাপদ কি না, তা নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে।
একই পথে ডেনমার্ক ও নরওয়ে : থাইল্যান্ডে একদিন আগেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ স্থগিত করেছে ডেনমার্ক ও নরওয়ে। ডেনমার্কে কয়েকজন টিকাগ্রহীতার রক্তে জমাট বাঁধা ও একজনের মৃত্যুর পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে। বিবিসি। নরওয়ের সরকারি স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ডেনমার্কের মতোই তারা টিকার প্রয়োগ স্থগিত রাখবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গেই বুখলম বলেন, টিকা ও রক্তে জমাট বাঁধার বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ সংস্থা জোর দিয়ে বলে আসছে টিকা নেওয়ার কারণে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সংস্থাটি বলছে, সাধারণ জনগণের তুলনায় টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ টিকাটির দুটি ব্যাচের প্রয়োগ বাতিল করেছে।