সৈয়দপুরে নবনির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলের ওপর হামলা

0
250

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিজয়ী মহিলা কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগমের ওপর হামলা করেছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী রূপ বেগম। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে শহরে আতিয়ার কলোনী এলাকায় সৈয়দপুর থানার পাশের সড়কে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এতে বিজয়ী মহিলা কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগমসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহন উৎসবমূখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এ নির্বাচনে পৌরসভার সংরক্ষিত আসনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাজী জাহানারা বেগম ৫ হাজার ৮৬ ভোট পেয়ে প মবারের মতো নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন রূপা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ২১৮ ভোট। ঘটনার দিন রোববার রাত আনুমানিক আটটার দিকে নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের বিজয়ী মহিলা কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগম তাঁর কিছু কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহরের নয়াটোলার বাড়ি থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি শহরের আতিয়ার কলোনী এলাকায় সৈয়দপুর থানার পাশের সড়কের পৌঁছলে নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী রূপা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর লোকজন নিয়ে বিজয়ী কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগমের ওপর আর্তকিত হামলা করে। এ সময় কাজী জাহানারা বেগমসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকরা কোন কিছু বুঝে উঠার আগে রূপা বেগমের নেতৃত্বে তাঁর সন্ত্রাসী লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। এ সময় পরাজিত প্রার্থী রূপা নিজে বিজয়ী কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগমের গলা টিপে ধরে তাঁকে মেরে ফেলার অপচেষ্টা করে। আর রূপার সঙ্গীয় লোকজন জাহানারা বেগমেন সঙ্গে থাকা তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বেদম মারপিট করে এবং মহিলা কর্মী-সমর্থকদের গলার চেইনসহ নগদ টাকা -পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে কাজী জাহানারা বেগমসহ তাঁর কর্মী-সমর্থকরা প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পাশের জনৈক নাজমা বেগমরে বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে লোকজন সেখান থেকে আহত অবস্থায় বিজয়ী কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগম (৪৭), তাঁর ছোট বোন আনোয়ারা বেগম (৩৫), রেজাউল করিম সেতু (২৫) মেহেদী হাসান মাসুমকে (২৫) ও মো. মমিনুল ইসলামকে (২৬) উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে কাজী জাহানারা বেগম (৪৭), তাঁর ছোট বোন আনোয়ারা বেগম (৩৫), রেজাউল করিম সেতু (২৫), মেহেদী হাসান মাসুমকে (২৫) সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর আহত দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলা কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী রূপা তাঁর লোকজন নিয়ে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পর পরই বিজয়ী কাউন্সিলর কাজী জাহানারা বেগম ঘটনাটি মৌখিকভাবে সৈয়দপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় কোন মামলা হয়নি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান বলেন, সেখানে হামলা কোন ঘটনা ঘটেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here