খবর৭১ঃ
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত থেমে থেমে হামলা পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। এতো দীর্ঘ সময় সংঘর্ষ চললেও ক্যাম্পাস প্রশাসনের উচ্চ পদধারী কিংবা সিনিয়র শিক্ষকদের দেখা মেলেনি।
শুরুর দিকে কয়েকজন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আন্তত ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে সংঘর্ষ বাড়লে দীর্ঘক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ আসে। কিন্তু তারাও ছিল নির্বিকার।
এদিকে স্থানীয়দের হামলার ভয়ে মেস ছেড়ে আসা শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। তারা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রাতেই হল খোলার দাবি জানাচ্ছে। তবে প্রশাসন তাদের এ দাবিতে কর্ণপাত করেনি। ফলে তারা আশ্রায়হীনভাবে রাস্তায় অবস্থান করছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সফল কোনো আলোচনায় বসতে পারেনি।
১২ টা ৪০ মিনিটে প্রক্টর বলেন, আমরা আমরা পুলিশসহ স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছি। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আশ্রায়হীন শিক্ষাথীদের হলে ওঠার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, আমি ভিসিকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে অবহিত করেছি। ভিসি সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি (ভিসি) জানিয়েছেন।
জাবি মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুল কবির রাত সাড়ে বারোটায় বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৫০ জনের বেশি আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে ১০/১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আজ রাতেই হলে উঠে যাব। কারণ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রশাসন আমাদের প্রতি উদাসীন মনোভাব দেখিয়ে চলেছে। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব।