খবর৭১ঃ দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ হচ্ছে প্রায় ১১ দিন ধরে। এই সময়ে মোট জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কমকর্তা ড. এএসএম আলমগীর। তিনি জানান, বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৫টি দেশ তাদের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশও একটি।
শুক্রবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এই তথ্য জানান।
সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে এএসএম আলমগীর বলেন, ‘মানুষকে টিকা দিতে উৎসাহিত করতে হবে। পজেটিভ বিষয়টি বারবার তুলে ধরতে হবে। এখন মানুষ দলে দলে টিকা নিচ্ছে। টিকা নেয়ার এই গতিটা ধরে রাখতে হবে, মানুষ যেন টিকা নেয়।’
বৈজ্ঞানিক কমকর্তা বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ৫ শতাংশের নিচে আছে। এর মানে এই নয় যে সংক্রমণ কমে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই সংক্রমণের হার কমার পরে আবার বেড়েছে। তাই আমাদের ঢিলেমি দিলে চলবে না। টিকা নেয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে টিকা মৃত্যু কমাবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা একটি অন্যতম পন্থা, একমাত্র পন্থা নয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এটা বৈশ্বিক সমস্যা, আমাদের দেশে কমলেও অনেক দেশে এখনো সংক্রমণের হার বেশি। সারা পৃথিবীর সব দেশ ভালো না থাকলে আমরাও ভালো থাকব না। যেসব দেশে সংক্রমণ আছে তাদের অনেকে আমাদের দেশে আসবে। তারা যেন ভাইরাসটি ছড়িয়ে না দেয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। টিকা দেয়ার পাশাপাশি মাস্কও পরতে হবে। দুটি মাস্ক পরলে তা আরও বেশি কার্যকর বলে বলা হচ্ছে।’
ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সালান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা প্রমুখ।