খবর৭১ঃ
চার দিন আগে উত্তর জনপদে মৌসুমের তৃতীয় দফার শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সোমবার এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার যা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার রংপুর বিভাগের রাজারহাটে তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজারহাটেই ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬। ৬ ডিগ্রিতে আছে রাজারহাট, রাজশাহী, বগুড়া, ঈশ্বরদী ও সৈয়দপুর। ৭ ডিগ্রিতে আছে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, বদলগাছি, তাড়াশ, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, যশোর ও বরিশাল। ৮ ডিগ্রিতে আছে টাঙ্গাইল, নিকলি, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুমারখালী ও ভোলা। ৯ ডিগ্রির মধ্যে আছে রাঙ্গামাটি, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া। ১০ ডিগ্রির মধ্য রাজধানী ঢাকাসহ সন্দ্বীপ, হাতিয়া, চাঁদপুর, সিলেট ও মোংলা।
এদিকে, তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ সীতাকুণ্ডু, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, সন্দ্বীপ, হাতিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, এই তাপমাত্রা এবারের শীতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে ডিসেম্বর মাসে এর কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। এই অবস্থা আগামী দুই দিন থাকতে পারে। পরশু থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঢাকাসহ দেশ জুড়ে এখন শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টানা কয়েক দিন বয়ে যাওয়া এ শীত আরো তিন-চার দিন অব্যাহত থাকবে। যেহেতু তীব্র ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে; তা কেটে যেতে সময় লাগবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অন্যদিকে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। হিমেল হাওয়ায় শীত তুলনামূলক বেশি অনুভূত হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু কক্সবাজার, মাইজদীকোর্ট ছাড়া দেশের সব জায়গায় এখন শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই বলে আভাস দিয়েছেন রুহুল কুদ্দুস।