খবর৭১ঃ
মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের উত্তর জনপদে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরে গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগসহ রাজশাহী, ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছি, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সকালে দিনাজপুর শহরের ষষ্টিতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজনের পেটের আহার যোগাতে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন দিনমজুররা। বিরল থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক সাইদুল ইসলাম জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার। একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত হয় না। তাই বাধ্য হয়েই কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে। তিনি বলেন, তীব্র শীতে পানি, বালির কাজ করতে গিয়ে হাত অবশ হয়ে যায়। একই রকম কথা জানান, অন্য শ্রমিকরা। আবার তীব্র শীতে কাজ কম থাকায় অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।