খবর৭১ঃ বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তুমুল যুদ্ধ চলছে।এতে আজারবাইজানের হাতে একের পর এক অধিকৃত অঞ্চল, সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাসদস্য হারাতে হচ্ছে আর্মেনিয়াকে।
দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ইয়েরেভেনের সম্মান বাঁচাতে নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী অ্যানা হাকোবিয়ান।
মঙ্গলবার ৪২ বছর বয়সী অ্যানা ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানান, আপাতত একটি সেনাঘাঁটিতে ১২ জন নারী সৈনিকের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই সীমান্তে সম্মুখ লড়াইয়ের জন্য রওনা দেবেন তারা।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘শত্রুপক্ষের হাতে আমাদের সম্মান ও মাতৃভূমি কোনোটাই তুলে দেব না।’
সংবাদ মাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, আগস্ট থেকে এটি হবে হাকোবিয়ানের দ্বিতীয় যুদ্ধ প্রশিক্ষণ। সেখানে তিনি ও নারীদের একটি দল কারাবাখে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য সাতদিন প্রশিক্ষণ নেবেন। এতে শারীরিক ও অস্ত্রচালনায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান বলেছেন, পরিস্থিতি ‘খুবই মারাত্মক’ এবং আর্মেনিয়ান নাগরিকদের অস্ত্র হাতে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ২০ বছর বয়সী ছেলে অ্যাশট পাশিনিয়ান ইতিমধ্যেই কারাবাখে আজারবাইজানের বিপক্ষে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানি অঞ্চল বলে স্বীকৃত। ৯০ এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশের মধ্যে সংঘাতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তৃতীয়বারের মতো দেশ দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
এর আগে দুইবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা অভিযোগ তোলে।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা হয়। এতে দুই দেশে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তা লঙ্ঘন।ফলে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ দুটি তুমুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।