খবর৭১ঃ নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং দুই শিশু লুবনা আক্তার (১০) ও তার বোন জুলফা আক্তার (৭)। তারা ময়মনসিংহের চরশিরতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরশিরতা ইউনিয়নের কোণাপাড়া গ্রাম ও আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতি গ্রাম থেকে ৪৮জন লোক উচিতপুর এসে ট্রলারে করে ভ্রমণে বের হন। ট্রলারটি উচিতপুর হাওড়ের গোবিন্দশ্রী রাজালী কান্দা নামক স্থানে পৌঁছলে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে বেলা ১২ টার দিকে ডুবে যায়। এতে ১৮ জন যাত্রী নিখোঁজ হন এবং বাকীরা সাঁতরে কিনারে উঠে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, মদন থানা পুলিশ ও মদন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার আহমেদুল কবিরের নেতৃত্বে ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, ‘মদন হাওরে নৌকা ডুবিতে দুই শিশুসহ ১৭ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার কাজ চলছে।’