খবর৭১ঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দুঃখ হচ্ছে এখনও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। বিআরটিএকে নিয়েও অনেক অভিযোগ শুনতে হয়। শর্ষের ভূত অবশ্যই তাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সড়ক ও সেতু উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিলেও কেন শৃঙ্খলা ফিরে আসছে না? সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিয়েও কোথাও কোথাও প্রশ্ন আছে।
রাজধানীতে সরকারি বাসভবন থেকে বুধবার চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ, টানেল প্রকল্পের অগ্রগতি ও ঈদ প্রস্তুতি সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিসি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী গণপরিবহন সংস্থা। শেখ হাসিনা সরকার এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। বহরে যুক্ত হয়েছে সহস্রাধিক বাস এবং পাঁচ শতাধিক ট্রাক। বিআরটিসি চট্টগ্রাম ডিপো বাস চালনা, ইজারা প্রদান, টিপ ব্যবস্থাপনা, মহিলা সার্ভিস, আদায়কৃত অর্থ জমাদানে অনিয়ম, ট্রাকের ভাড়া জমাদানে অনিয়মসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আমার কাছে আছে। দুর্নীতি আর অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে না এলে এ প্রতিষ্ঠান টেকানো কঠিন হবে। ডিপো কেন্দ্রিক অনিয়ম বন্ধের কথা বলছি। সতর্ক বা সংশোধন না হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিআরটিএ নিয়েও অভিযোগ আছে। এখানে বহিরাগতদের আনাগোনা বেশি। বাইরের দালালরা ভেতরে অনিয়ম করে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকলে অনিয়ম বাসা বাঁধে। সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য কাজ দেখতে চাই। দেখতে চাই কাজের গতি। বিআরটিএ এর অবিরাম সেবা এখন ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। তারপরও অনিয়ম আছে। চট্টগ্রাম বিআরটিএকে সেবা প্রদানে দেশের মডেল হিসেবে দেখতে চাই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান জোন বা সার্কেল কিংবা প্রকল্পে অগ্রগতি, সমস্যা সমাধান ও সেবার মান অনেকাংশে দায়িত্বপ্রাপ্তদের পার্ফমেন্সের ওপর নির্ভরশীল। সড়ক জোনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আরও কো-অ্যাকটিভ হওয়া জরুরি। প্রকল্পের নিয়মিত কাজ মনিটর করার অনীহা থাকা চলবে না। মনে রাখবেন আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের দুঃখ কষ্ট ও প্রয়োজনে দ্রুত রেসপন্স করে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকল্পে ইতোমধ্যে জাইকার অর্থায়নের নীতিগত অনুমোদন পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের মেট্রোরেল স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের এক অনন্য উদ্যোগ কর্ণফুলী টানেল। করোনাকালে সীমিত আকারে কাজ চললেও এখন ট্যানেলের কাজে গতি ফিরেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।