খবর৭১ঃ বিদেশি পাঠ্যক্রমে পরিচালিত দেশের ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোকে নিবন্ধন করতে হবে। এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও শিক্ষাবোর্ডগুলো এবং মাউশির নয়টি আঞ্চলিক উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে এই ধরনের নিবন্ধিত ও নিবন্ধনবিহীন কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তার তথ্যও জানানো বলা হয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ বুধবার প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে বিদ্যালয়গুলোকে নিবন্ধন যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সাধারণ শিক্ষাবোর্ড) কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
কিন্তু অভিযোগ আছে বেশির ভাগ বিদ্যালয়ই নিবন্ধন না করে নিজেদের মতো করে চলছে। এতে কোনো জবাবদিহি থাকছে না। আবার প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর প্রকৃত তথ্যও সরকারের হাতে থাকে না। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ একটি তথ্য বলছে দেশে ১৪৫টি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সাড়ে ১১ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়ছে। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যাটি আরও বেশি। এসব বিদ্যালয়ের বিষয়ে ২০১৭ সালে একটি নিবন্ধন বিধিমালা হলেও সেটি প্রর্কৃতপক্ষে কার্যকর হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাপত্রে বিধিমালার ১৯ (৩) ধারাটি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে বেসরকারি বিদ্যালয়ে সহপাঠ কার্যক্রম পরিচালনা, কোনো বিশেষ সুবিধা এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহারের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাবে, তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ ব্যয় বিবরণী অভিভাবকদের লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগ এসব ফির তথ্য তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে জানানো হয় না।
এ ছাড়া নির্দেশনাপত্রে, সাময়িক নিবন্ধন আবেদন ফরমে প্রতি মাসে বা বছরে শ্রেণিভেদে আদায় করা টিউশন ফি, ভর্তি ফি, খেলাধুলা ফি, গ্রন্থাগার ফি, টিফিন ফি, মুদ্রণ ফি এবং অন্যান্য ফি এর পরিমাণ ও বিবরণী উল্লেখ করার নিয়ম আছে বলেও মনিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।