খবর৭১ঃ প্রচলিত ভাড়ায় রেলে পরিবহন করা যাবে কোরবানির পশু। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে পশু পরিবহন করা হবে। মঙ্গলবার রেলভবনে এ পরিকল্পনার কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ, রুট ও স্টেশন নির্ধারণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে যেকোন দিন থেকেই পশুবাহী ট্রেন চালু করতে প্রস্তুত রেলওয়ে।
নুরুল ইসলাম সুজন ধারণা দেন, গাইবান্ধা, পাবনা কিংবা কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গরু পরিবহনে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতে পারে। একই দূরত্ব থেকে ঢাকায় গরু আসতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ভাড়া লাগতে পারে।
আগ্রহী কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের রেলওয়ের কন্ট্রোল নাম্বার ০১৭১১-৬৯১৫২০ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আম পরিবহনের সুবিধার্থে ইতোপূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ নামে ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। কেজি প্রতি দুই টাকা ভাড়ায় এ ট্রেনে আম পরিবহন করা হচ্ছে।
করোনার বিস্তার রোধে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে চালু হয়েছে ট্রেন। দুই দফায় ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীর অভাবে দু’টি ট্রেন বন্ধ করে দিতে হয়। বাকি যেগুলো চলছে, তাতেও যাত্রী সঙ্কট। লোকসান পোষাতে লাগেজ ট্রেনে পণ্যপরিবহনে মনোযোগী হয়েছে রেলওয়ে।
মন্ত্রী জানান, মিটার গেজে ওয়াগনে ১৬টি এবং ব্রডগেজে ২০ থেকে ২৫টি গরু পরিবহন করা যাবে। ব্যবসায়ীরা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে গরু, ছাগল পরিবহনের চাহিদা জানাবে। প্রাণিসম্পদের চাহিদা অনুযায়ী রুট ও ভাড়া নির্ধারণ করবে রেলওয়ে।
মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন রেলসচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান প্রমুখ।