খবর৭১ঃ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পাটকল শ্রমিকদের সব পাওয়া পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন কারো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
শুক্রবার রাজধানীতে মন্ত্রীর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিভিন্ন শ্রমিক নেতাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যাংক হিসাব নম্বর অবিলম্বে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনকে (বিজেএমসি) জানাতে অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একে আরো সক্ষম করে গড়ে তুলতে উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকদের এককালীন পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জানান, মজুরি কমিশন-২০১৫ অনুযায়ী পাটকল শ্রমিকদের জুন/২০২০ মাসের মজুরি আগামী সপ্তাহে তাদের ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হবে। এছাড়া জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও উভয় মাসে পরিশোধ করা হবে। পিএফ, গ্রাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সকল পাওনার ৫০ শতাংশ স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে এবং বাকী ৫০ শতাংশ স্ব স্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতেই পাওনা হিসাব করা হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল হতে অবসরপ্রাপ্ত ৮ হাজার ৯৫৪ জন শ্রমিকের প্রাপ্য সকল বকেয়া, বর্তমানে কর্মরত ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিকের প্রাপ্য বকেয়া মজুরি, শ্রমিকদের পিএফ জমা, গ্রাচুইটি এবং সে সাথে গ্রাচুইটির সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ হারে অবসায়ন সুবিধা একসাথে শতভাগ পরিশোধ করা হবে। এজন্য সরকারি বাজেট হতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, অবসায়নের পর মিলগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণে পিপিপি/যৌথ উদ্যোগ/জি টু জি/ লিজ মডেলে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন মডেলে পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত বর্তমান শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সাথে এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।