খবর৭১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শুক্রবার। দ্বিতীয় মেয়াদে বৃহস্পতিবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস। ফলে এই মেয়াদে এদিনই তিনি শেষ অফিস করেছেন।
এদিকে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধন করে গভর্নর পদে ফজলে কবিরের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আইন সংশোধন করতে না পারায় তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। এ কারণে আগামী শনিবার থেকে গভর্নরের পদটি শূন্য হয়ে যাচ্ছে।
ফলে আগামী শনিবার থেকে নতুন মেয়াদে ফজলে কবিরকে নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১ এস এম মনিরুজ্জামান ও ডেপুটি গভর্নর-২ আহমেদ জামাল। তারাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখা থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই বিভাগের উপ-সচিব মো. জেহাদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই দুই ডেপুটি গভর্নরের কাছে। চিঠির অনুলিপি গভর্নর ফজলে কবিরের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের অনুপস্থিতে ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এ নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই ডেপুটি গভর্নর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে গভর্নর তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান গভর্নরের প্রতিদিনের ডাক ফাইল দেখবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করবেন। ডেপুটি গভর্নররা বর্তমানে যেসব বিভাগ দেখাশুনা করেন তারা সেসব বিভাগের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেবেন। পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত গভর্নরকে ডেপুটি গভর্নররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করবেন। প্রয়োজনে এসব বিষয়ে পরবর্তীতে গভর্নরের অনুমোদন নেবেন।
সূত্র জানায়, গভর্নর পদে ফজলে কবিরের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি বয়স হলে কেউ গভর্নর পদে থাকতে পারেন না। শুক্রবার বর্তমান গভর্নরের বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। যে কারণে শুক্রবারই তার শেয়াদ শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ইতিমধ্যে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৬৭ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে থাকা যাবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা এই আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এখন সংসদে এটি বিল আকারে পাশ করা হবে। এরপরে গভর্নরের মেয়াদ বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।