খবর৭১ঃ নভেল করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ২৫ শতাংশ চিকিৎসক ও ৬০ শতাংশ নার্স এখনও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পাননি। আবার যেসব স্বাস্থ্যকর্মী এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম পেয়েছেন তারাও সেগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে ‘সন্দিহান’।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে করা এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক। শনিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ জরিপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে।
অতি সংক্রামক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে রোগী থেকে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পিপিই অত্যন্ত জরুরি ও আবশ্যক। রোগী, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী- কার কোন ধরনের পিপিই প্রয়োজন সেই বিষয়ে নির্দেশনাও রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল টেলিফোনে করা জরিপে দেশের ১৪টি জেলার ৪৩টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৬০ জন চিকিৎসক ও নার্স অংশ নেন। পিপিই পরিধান, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিকিৎসকরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন নিজ উদ্যোগে জেনে নিলেও নার্সদের অধিকাংশই এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পাননি বলে গবেষণায় উঠে এসছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাকের গবেষক বুশরা জেরিন ইসলাম পিপিই নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোভাব ও চিকিৎসা নিয়ে তাদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোর সামনের সারিতে থাকা ৭৫ ভাগ চিকিৎসক এবং ৪০ শতাংশ নার্স পিপিই পেয়েছেন। কিন্তু রেইনকোটের মতো যে পিপিই দেওয়া হয়েছে সেসব আদৌ কাজ করে কি-না তা নিয়ে তারা সন্দিহান।’
‘এই ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ হচ্ছে- পিপিই একবার ব্যবহার করে ধ্বংস করতে হবে। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের পুনরায় ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে। আর এটিই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বড় রকমের মানসিক চাপ তৈরি করছে।’
এদিকে নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ কতোটুকু সচেতন তা নিয়ে আরেকটি জরিপ করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ। ওই জরিপ চালানো হয় অংশ নেন এক হাজার ৩০৯ জনের ওপর।
জরিপটির ফলাফল তুলে ধরে গবেষক অতনু রাব্বানী বলেন, ‘মাত্র ৩৮ শতাংশ ব্যক্তি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা জানে। আর মাত্র ১৬ শতাংশ বলেছেন তারা হাঁচি-কাশি দিলে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকেন। তবে বহু মানুষ এখনও জানে না রোগটি কীভাবে ছড়ায়।’