খবর৭১ঃ বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে বাংলাদেশেও। ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো একজন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। এর মধ্যে ২১ মার্চ শনিবার তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন মহল থেকে ভোট পেছানোর ব্যাপারে দাবি উঠলেও তা আমলে নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে তারা এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে পুনর্বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে ইসি।
২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আর ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটিসহ আরও দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত।
বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জনসমাগম এড়িয়ে চলার জোরালো পরামর্শ দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এখনও নির্বাচন স্থগিতের মতো অবস্থা হয়নি বলে মনে করছে তারা।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ভোট পেছানো বিষয়ে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মানবো। আমরা আজ আমাদের গণসংযোগ বন্ধ করেছি।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই জনগণের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসির অনেক কর্মচারী করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছেন। তাদের অনেকের ধারণা, করোনার কারণে তিনটি উপনির্বাচন না পেছালেও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনসহ দুটি উপনির্বাচন পেছাতে পারে।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখনো আশা করছি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’