এয়ারকন্ডিশনার থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস: গবেষণা

0
547
করোনা ভাইরাস: আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়

খবর৭১ঃ জন্মস্থান সঠিক ভাবে জানা না গেলেও অনুমান, চীনের হুহান প্রদেশেই তার জন্ম। যা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে বর্তমান সময়ে প্রধান ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। না আর কিছু নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বহুল চর্চিত মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের কথায় বলা হচ্ছে।
মারণ এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ, সর্দি, কাশি হালকা জ্বর ভাব।

তারপরে ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়া। তবে মারণ এই ভাইরাসের উপস্থিতি বা এটি দেখতে কেমন সেসব এখন কিছুই জানা যায়নি। নোভেল করোনাভাইরাস ঠিক কি তা জানতে এবং এর ওষুধ আবিস্কার করার জন্য প্রতিনিয়ত চলছে নিরন্তন গবেষণা।

তবুও এখনও পর্যন্ত বাগে আনা যায়নি মারণ এই ভাইরাসটিকে। যার কারণে ক্রমশ বেড়েই চলেছে বিশ্বজোড়া মৃত্যুমিছিল।
তবে গবেষণা বলছে অন্যকথা, শুধু সর্দি-কাশি বা জ্বর নয়, এয়ারকন্ডিশনারের হাওয়া থেকেও ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ। করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের কাজে নিযুক্ত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই রোগটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে এটি প্রাথমিকভাবে আরও সংক্রামক করে তোলে রোগকে।

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশন ডিজিজের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা এয়ারকন্ডিশনারের মধ্যে থাকলে তাদের নাক-মুখ থেকে নির্গত হাঁচি, কাশি এসির হাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত তা অন্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অন্যদের এই ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের ওই বিশেষজ্ঞরা এইরকম ৩ জন অসুস্থ মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। সেখানে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পিছনে এসিরও যে ভূমিকা রয়েছে সেই যুক্তিই তুলে ধরেছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রুজ জাহাজগুলিতে বাইরের বাতাস জাহাজের ভিতরে প্রবেশের রাস্তা খুলে দিলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে। বরং এয়ারকন্ডিশনার যুক্ত ঘরে বাতাস রিসার্কুলেশন হলে বিপদ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত রবিবার ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে প্রিন্ম নামক একটি ক্রুজ নোঙর করার পরই চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্টটি সামনে আসে। আপাতত প্রিন্সের যাত্রীদের করোনা-সংক্রমণের পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট আসা অবধি কোয়ারেনটাইন রাখা হয়েছে যাত্রীদের।

আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাহাজে এয়ার ডাক্ট থাকে তা ৫ হাজার ন্যানোমিটারের থেকে ছোট পার্টিকলগুলিকে আটকাতে পারে না। যদিও করোনা ভাইরাসের আয়তন এখনও জানা যায়নি। সার্স’র মাপ ছিল মাত্র ১২০ ন্যানোমিটার। যদি করোনা ভাইরাসের মাপও এমন হয়, তাহলে এসি মেশিন মারফত ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস। যদিও এয়ারলাইন্স সংস্থার দাবি, তাদের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসও ছড়ানো থেকে আটকায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here