১০ হাজার বাংলাদেশির ওমরাহ অনিশ্চিত, ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

0
511
১০ হাজার বাংলাদেশির ওমরাহ অনিশ্চিত, ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

খবর৭১ঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ওমরাহ যাত্রী ও দেশটিতে ভ্রমণকারীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সৌদি সরকার। সৌদি সরকারের আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন দেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী। এতে ভিসা ফি, হোটেল ও বিমান ভাড়া বাবদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন এজেন্সি মালিকরা।

কোন আগাম ঘোষণা ছাড়াই বুধবার রাতে এক বিবৃতির মাধ্যমে হুট করেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি সরকার। প্রতিবেশি অন্তত চারটি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবে করোনা ভাইরাসের প্রবেশ এবং ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক এবং আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওমরাহ ও ট্যুরিস্ট ভিসা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে বসবাসরত সৌদি নাগরিকরা এতদিন জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই নিজেদের দেশে যাওয়া-আসা করার সুযোগ পেতেন। তাদের সেই সুযোগও আপাতত স্থগিত থাকবে।’

এদিকে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশের কোনো ওমরাহ যাত্রী সে দেশের উদ্দেশে যেতে পারেননি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাদের। এহরাম পরা অবস্থায় প্রায় এক হাজার ওমরাহ যাত্রী দিনভর ভোগান্তির পর বিমানবন্দর থেকে কান্না ভারাক্রান্ত হয়ে ভগ্ন মনে বাড়িতে ফেরেন। ঢাকার বিমানবন্দরে প্রায় ৫ শতাধিক ওমরাহ যাত্রী ছিলেন। যে উড়োজাহাজগুলো তাদেরকে সৌদি আরবে নিয়ে যেতে এসেছিলো সেগুলোও প্রায় খালি অবস্থায় ফিরে যায় সৌদি আরব। বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ফ্লাইট থাকলেও সেই ফ্লাইটগুলোও ওমরাহ যাত্রীদের না নিয়েই চলে যায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ইমিগ্রেশন) বলেন, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স থেকে আমাদের ওমরাহ ভিসাপ্রাপ্ত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন না করানোর মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, করোনা ভাইরাসের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে ভিসা হওয়ার পরও বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী আটকে গেলেন। ওমরাহ ভিসা সাধারণত ১৫ দিনের জন্য দেওয়া হয়। আপাতত মনে হচ্ছে, ভিসা তো নতুন করে ইস্যু হবেই না। আর যাদের ভিসা করা আছে, তারাও যেতে পারবে না। এটা যদি হয়, আমাদের কাছে একটা হিসাব আছে। এখন প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ ভিসা করা আছে। সব মিলে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ইনস্ট্যান্ট ব্যয় হয়েছে, যে টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এটা এখন এজেন্সি ও ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিমানের টিকিট নিয়ে অফিসিয়ালি তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, যাতে এই টাকাটা ফেরত দেওয়া হয়। কূটনৈতিক চ্যানেলেও আমরা চেষ্টা করব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here