খবর৭১ঃ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রাজধানী ঢাকায় আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপি। সকালে ঢাকার বিজয় সরণি, পান্থপথ, গুলশান, মালিবাগ, খিলগাঁও, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় বাস, ট্রাক, রিকশা, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় সকালে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা ছিল। যানজট খুব বেশি ছিল না।
ঢাকায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কারওয়ানবাজারে প্রাইভেট কারে কর্মস্থলে এসেছেন নাইমুল ইসলাম। তিনি জানান, রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখেছেন। তবে অন্য দিনের মতো যানজট পাননি। অল্প সময়েই তিনি কর্মস্থলে চলে আসতে পেরেছেন।
শান্তা হক খিলগাঁও থেকে এসেছেন কারওয়ান বাজারে। জানান, তিনিও রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন দেখেছেন। তবে তুলনামূলক রাস্তা ফাঁকা ছিল। রাস্তায় স্কুল বা কলেজগামী শিক্ষার্থী দেখেননি।
পলাশ কুমার জানান সকালের দিকে তিনি বিজয় সরণিতে সব ধরনের গাড়ি চলাচল করতে দেখেছেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির হরতালে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আরেকটা তামাশা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা (নির্বাচন) এতটুকু অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এই নির্বাচনেও সরকার আগের নির্বাচনের মতোই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে তাদের মতো করে দখল করেছে।’
হরতালের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করব, ঢাকাবাসী তাদের অধিকার রক্ষার জন্য এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সহযোগিতা করবে। আমরা এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
এদিকে হরতাল ঘোষণার পর তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরাও হরতালে গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান ও মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, হরতালে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বাস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হলে দায়দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে।