‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই ইসির ভেতরেইঃ মাহবুব

0
456
‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই ইসির ভেতরেই
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, তাঁর ধারণা কমিশন সভায় তাঁর বক্তব্য প্রদানের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই।

আজ রোববার সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা (কমিশনারেরা) নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আমাদের কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়।’

লিখিত এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও (সিইসি) দিয়েছেন। মাহবুব বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে তাঁর কিছু বক্তব্য রয়েছে। নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের যেভাবে দায়িত্বপালন করার কথা, তা হচ্ছে না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে ৩টি কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার কোনোটিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি, অনিয়ম বা প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি। কোনো কমিশন সভায় এসব বিষয় অ্যাজেন্ডাভুক্ত হয়নি। ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের যে  সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতেও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বিষয় অ্যাজেন্ডাভুক্ত নয়।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমি বিগত ৯, ১৩, ১৬ ও ২০ জানুয়ারি যে ৪টি নোট প্রদান করেছি, তা রীতিমতো উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আমলে নেওয়া হয়নি। এসবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গৃহীত হয়নি। যদি আমার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলেও আমাকে তা জানানা উচিত ছিল।’

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ১৬ জানুয়ারি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যাদি জানাতে বলেছিলাম। এসব অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারির মধ্যে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে এবং কোনো তথ্যই সরবরাহ করা হয়নি। কমিশনে এ নিয়ে কোনো আলোচনার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘অভিযোগের পেছনে যে অসন্তোষ আছে, তা বিস্ফোরিত হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচন সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে না, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আমার প্রস্তাব বা সুপারিশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অ-গৃহীত হয়। আমাকে সংখ্যালঘিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেওয়া সমীচীন বলে মনে করি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here