খবর৭১ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আশা করি নির্বাচনে কোনো প্রার্থী বা পরিবারের প্রভাব পড়বে না। কারণ, দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি না।
শনিবার গোপীবাগে নিজ বাসভবনে নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমি যতদূর জানি, উনি (তাপস) একজন সজ্জন ব্যক্তি। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক এবং আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রতি আহ্বান থাকবে, নির্বাচনে কোনো প্রকার ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাব) করবেন না। দেশটা কারো জমিদারি নয় উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, আমরা কারো কথায় পরোয়া করি না। উনারা কী বললেন, না বললেন, সেটা তো কিছু যায় আসে না। যেটা দৃশ্যমান, সেটা তো আপনারা দেখছেন। এটা কারো নিজের দেশ না। এটা আমাদেরও দেশ। এখানে কারো জমিদারি চলবে না। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার।
ব্যারিস্টার তাপসের পারিবারকে ইঙ্গিত করে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকাপুত্র ইশরাক বলেন, আমার প্রতিপক্ষ কোন পরিবারের, সেটা আমি বড় করে দেখতে চাই না। কে কোন পরিবারের, সেটা আমার দেখার বিষয় না। এই দেশটার মালিক হচ্ছে জনগণ। এ দেশটা কারো পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বৈরাচারকে বিদায় করব।
র্যাব-পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর নির্বাচনী ফল যা হবে, আমরা তা মেনে নেব। কিন্তু এতে কারচুপি হলে জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির প্রার্থী বলেন, আমার পাশে এখনও মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন। উনার নাম আমিনুল ইসলাম। উনি ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচর এলাকার আমাদের একজন কর্মী। তিনি গতকাল শুক্রবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার চালানোর সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। তাই কে হামলার কথা অস্বীকার করল বা না করল, সেটাতে কিছু যায় আসে না।
বিএনপি ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, ভোটকেন্দ্র পাহারা বলতে কোনো কিছু নেই। কেউ যদি বলে থাকে সেটা ইনফরমাল ল্যাঙ্গুয়েজে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। এবারও আমরা সেটা করব। এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা নিযুক্ত থাকবেন তারা সততার সঙ্গে এবং জনগণের সঙ্গে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি। কারণ তারা কোনো দলীয় ক্যাডার বাহিনী নয়। আমরা তাদের সহযোগিতা করব।