খবর৭১ঃ
মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ জন্মদিন বা জন্মবার্ষিকী অনেক আনন্দের হলেও কুমিল্লার মুরাদনগরে তা এখন রূপ নিয়েছে আতঙ্কে। উপজেলা সদরের স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এখন নতুন এই আতঙ্কে ভুগছেন।
আর সেটি হচ্ছে জন্মদিনের নামে সন্তানকে তার বন্ধুরা জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছ অথবা ল্যাম্পপোষ্টের সাথে হাত পা বেঁধে ডিম আটা মাথায় মাখিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চালায় শারীরিক নির্যাতন। গত ১২ ডিসেম্বর তারেকুল ইসলাম নামে ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রকে গোমতী নদীর পাড়ে গাছে সাথে হাত পা বেঁধে মাথায় ডিম আটা মাখিয়ে চালায় শারীরিক নির্যাতন। পরে তারেকুলের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পশুধু তারেকুল নয় গত ২২ দিনে একই ভাবে জন্মদিনের নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া রুহুল আমিন, নাইম, মাহাদি, ছাব্বির, রাজবির হোসেন রবিন, ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাহিদুল ও কলেজ পড়য়া হৃদয়, নিজাম, নিশাত।
নির্যাতনের শিকার সকলেই মুরাদনগর ডি.আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে জন্মদিনের নামে এ ধরনের নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তারা হলো মুরাদনগর ডি.আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম, রাহিল, মাহিদুল, শাকিল, রাজু, করিম, ১০ম শ্রেণীর মাহমুদ, ফাহিম, আশিক, নাইম, ইয়াছিন, রাজা, রাব্বি, ছোট ইয়াছিন ও কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র সাব্বির ইলিয়াস, হৃদয়, নাইম, মারুফ, সবুজ, জিসান, একে ফয়সাল, নিশাত। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় নির্যাতনের এ ঘটনায় তাদেরকে সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
কারণ কখন যে আবার জন্মদিনের নামে বড় ধরনের দূর্ঘটনার জন্ম দেয় তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে যদি কেউ এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। আমরা স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সাথে কথা বলে এ ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।