খবর৭১ঃ
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে রংপুর বিভাগের বোলারদের তুলোধুনো করে করেছেন ইমরুল কায়েস। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কায়েস। তার অপরাজিত ২০২ রানের ইনিংসটি ৩১৯ বলে ১৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আব্দুর রাজ্জাকদের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয় রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন তানভির হায়দার। ৫০ রান করেন শুভাগত হোমে চৌধুরী। খুলনার অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক শিকার করেন ৪ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমরান উজ্জামানের সঙ্গে উদ্বোধনীতে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রবিউল ইসলাম রবি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে ১১টি বাউন্ডারিতে ৭১ রান করেন ইমরান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা।
তবে ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইমরুল কায়েস। উইকেটের এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নিলেও অন্য প্রান্তে অবিচল থেকে একাই লড়াই করে যান জাতীয় দলের ওপেনার কায়েস।
দ্বিতীয় উইকেটে কায়েসের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন রবিউল ইসলাম। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৮ চারের সাহায্যে ৭৬ রান করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ রানে আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কায়েস। ৯১ বল খেলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রান করে ফেরেন সৌম্য।
এরপর আর কেউই ইমরুলকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান কায়েস। ১০৫ বলে অর্ধশতক করার পর বেশ দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তিনি। ১৮৩ বলেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার পর আগের চেয়ে আরও বেশি আক্রমাত্মক ব্যাটিং করে যান কায়েস। ২৪৫ বলে ১৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি।
প্রথম ১০০ রান করতে যেখানে ১৮৩ বল খেলেছিলেন কায়েস, সেখানে পরের ১০০ রান করেছেন মাত্র ১৩০ বলে। এই রান করার পথে তিনি ১৯টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। কায়েসের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৪৫৪ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা।
২২৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ বিকালে এক উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর।