খবর৭১ঃ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, এসডিজি অর্জনে গতিশীলতা আনতে সংসদ সদস্যদের আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হলে এসডিজি অর্জন সহজ হবে। সংসদ সদস্যগণ দেশের উন্নয়ন, অগ্রাধিকার এবং বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডাকে সামনে রেখে এসডিজি অর্জনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। এই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন জনগণের সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে।
নতুন উদ্ভাবিত সংসদীয় আসন ভিত্তিক ‘ট্র্যাকার’ এর মাধ্যমে আসন ভিত্তিক এসডিজি’র অগগ্রতি সহজেই নিরুপন সম্ভব হবে। এসময় তিনি সংসদ সদস্যদের নিয়ে এসডিজি সেল গঠনের আহবান জানান।
সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আজ সংসদ সদস্যদের জন্য এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ইউএনডিপির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ফোকাল পয়েন্ট চার্লস স্যুভেল, ইউএনডিপির কলসালটেন্ট রাদওয়ান সিদ্দিক ববি, একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের রমিজ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক এমপি, সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু এমপি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপি রুস্তম আলী ফরাজি এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এমপি । অনুষ্ঠানে ২০ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।
স্পিকার আরো বলেন, সংসদ ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সুশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যদের দায়িত্বও বেড়ে গেছে। সংসদ সদস্যদের সক্ষমতা বাড়িয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে সে ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে।