খবর৭১ঃ
মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাবিবা আক্তার (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনটি ঘটে। আহত হাবিবা আক্তার উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালে সহকারি শিক্ষক নিরঞ্জন দাশের হাতে থাকা একটি বেত ছুড়ে মারেন শিক্ষার্থীদের উপর। এসময় বেতটি হাবিবার চোখে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তার চোখ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এঘটনায় স্কুলে হৈ চৈ পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন হাবিবাকে দ্রুত উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মিঠুন রায় পরীক্ষার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন।
পরে তার স্বজনরা হাবিবাকে ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান।হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মিঠুন রায় জানান, বেতটি সরাসরি হাবিবার চোখের ভেতর আঘাত করায় তার চোখ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোখটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সহকারী শিক্ষক নিরঞ্জন দাশ বলেন, ঘটনার সময় আমি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়া নিচ্ছিলাম। এ সময় যারা পড়া পারেনি তাদের টুকটাক বেত্রাঘাত করি। এ সময় ক্লাসের দরজার সামনে কিছু শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করছিল। আমি তাদের বারবার ধমক দিলেও তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এসময় হাতে থাকা বেত ছুড়ে মারি। তা গিয়ে হাবিবার চোখে লাগে। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত তথ্য নেয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখব। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বেত দিয়ে আঘাত করার তো বিধানই নেই। শুধু তাই নয় শ্রেণিকক্ষে বেত নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি নেই। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।