খবর৭১ঃ ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের বুকে নামার চূড়ান্ত মুহূর্তের শেষ কয়েক ঘণ্টায় উত্তেজনার প্রহর গুনছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার রাত ১টা থেকেই অবতরণ শুরু হওয়ার কথা। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে কোনো যান। এখন পর্যন্ত কেউ চাঁদের এ অংশে পা রাখেনি।
২২ জুলাই সকালে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে উেক্ষপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-২। শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে হবে ‘টাচ ডাউন’। আর শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ল্যান্ডারের ভেতর থেকে বেরোনোর কথা রোভার প্রজ্ঞানের। চাঁদের মাটিতে আদৌ পানি আছে কী না, চাঁদ ভবিষ্যতে বিপুল খনিজের উত্স হতে পারবে কী না—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করবে চন্দ্রযান-২। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এ নভোযান পাঠিয়েছে।
উেক্ষপণের পর পৃথিবীর কক্ষপথ ভেদ করে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে চন্দ্রযান-২-এর সময় লেগেছে পাঁচ দিন। পার হতে হয়েছে প্রায় ৩.৮৪ লাখ কিলোমিটার পথ। এ চন্দ্রযানের তিনটি ভাগ। অরবিটার বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। ল্যান্ডার, যেটি চন্দ্রযানকে চাঁদের মাটিতে নামাবে এবং নামবে। আর রোভার চাঁদের মাটিতে ভ্রমণ করে পানি ও অন্যান্য খনিজের সন্ধান করবে। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ছেড়ে আলাদা হওয়া থেকে চাঁদে অবতরণ, এ সময়টিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ভয়ংকর ১৫ মিনিট’।
মধ্যরাতে বেঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরোর সদর দপ্তর থেকে চন্দ্রযান-২-এর চাঁদের বুকে নামার দৃশ্য দেখবেন। অভিযান সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে পা রাখবে। এর আগে চন্দ্রযান-১ অভিযান চালিয়েছিল ইসরো। সে অভিযানের মেয়াদ ছিল ৪ মাস। আর চন্দ্রযান-২-এর অভিযানের মেয়াদ হচ্ছে ১ বছর। চন্দ্রযান-১ দক্ষিণ মেরুতে যাওয়ার সময়ই ধ্বংস হয়েছিল।