খবর৭১ঃ
বাঁশখালীর জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। সামুদ্রিক মাছ আহরণের জন্য বাঁশখালীর বেশ সুনাম রয়েছে। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন ইলিশ বাঁশখালীর জেলেদের জালের ধরা পড়বে।
বাঁশখালীর সবচেয়ে বড় মাছের ঘাট শেখেরখীলের ফাঁড়ির মুখ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেছে, নৌকাভর্তি ইলিশ নৌকা থেকে ঘাটে নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা। কথা বলার সময় নেই কারও। তবে সবার মুখ হাসিতে ভরে রয়েছে। আকার দেখে ইলিশ আলাদা করা হচ্ছে। পচন ঠেকাতে ইলিশগুলোকে বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। এরপর তোলা হচ্ছে ট্রাকে।
বাঁশখালী বোট মালিক কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঁশখালীর প্রায় দুই হাজার নৌকা সাগরে মাছ ধরতে যায়। বাঁশখালীর শেখেরখীলের ফাঁড়ির মুখ এবং চাম্বলের বাংলাবাজার ঘাটে নৌকা থেকে মাছ নামানো হয়। সাগর থেকে এসব মাছ ঘাটে আনতে জলকদর খালকে ব্যবহার করা হয়।
ফাঁড়ির মুখ এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ঈসমাইল বলেন, গভীর সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। বড় নৌযানগুলো গভীর সাগরে অবস্থান করে থাকে। নির্দিষ্ট সময় পরপর ছোট নৌকাগুলো সাগরে গিয়ে বড় নৌকা থেকে মাছগুলো তীরে নিয়ে আসে।
ইসমাইল বলেন, ইলিশের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে লইট্টা মাছ জালে ধরা পড়ছে। ট্রাকে করে এসব ইলিশ চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বড় কাঁচা বাজারগুলোতে সরবরাহ করা হয়। এক কেজি ওজনের ইলিশ ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাঁশখালী মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে। বাকি ১৫ দিনেও এ রকম ইলিশ ধরা পড়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বাঁশখালীর জেলেদের জালে বেশি ধরা পড়ছে। তিন কেজি ওজনের ইলিশও বাঁশখালীর জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পদ্মার ইলিশ খাটো আর সাগরের ইলিশ সাধারণত লম্বাটে হয়। মিঠা পানি হওয়ায় পদ্মার ইলিশ সাগরের ইলিশের চাইতে একটু বেশি স্বাদ হয়। তবে সাগরের ইলিশও বেশ সুস্বাদু।