খবর৭১ঃ
দ্বিতীয় দফায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে সবগুলোতেই এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের এক পরীক্ষায় এমনটিই জানা যায়। আজ শনিবার ওই রিসার্চ সেন্টারের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের বারের পাঁচটি কোম্পানির সাতটিতে পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা, অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক।
এবারও সবগুলো নমুনাতেই এন্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে। এন্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না-এমন এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ৬টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং ১টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি।
এর আগে গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহকে ল্যাবরেটরিগুলোতে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কি না তা পরীক্ষা করার।