খবর৭১ঃ
বর্তমানে ব্যাংকের সুদ আদায় করা হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। প্রথম কোয়ার্টারের টাকা না দিলে পরের কোয়ার্টার কম্পাউন্ড (যৌগিক) হয়ে যায়।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর অব. এম এ মান্নান বলেছেন, ঋণ খেলাপীরা দেশের অর্থনীতির জন্য বড়প্রতিবন্ধকতা। যে কোন মূল্যে এটা বন্ধ করতে হবে।
এভাবে আসল একই থাকে কিন্তু সুদ বাড়তে থাকে। একসময় বিশাল অংশ দাঁড়ায়। এই চক্রবৃদ্ধি সুদ ব্যবসায়ী, সমাজকে, দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
বিকেলে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারন আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
খেলাপী ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকটি ব্যাংকে সরল সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। তাতে দেশ ও জাতির উন্নীত হবে।
এদিকে মেজর মান্নান বলেন, প্রস্তাাবিত বাজেট হতে হবে জনগণের প্রতি সরকারে প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সর্বোস্তরের মানুষের আয় বৃদ্ধি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র নিরসন, জীবন মানের গুণগত পরিবর্তন তবেই হবে সত্যিকারে গণমুখী বাজেট।
তিনি বলেন, অর্থনীতির উর্ধ্বগতি বজায় রাখতে হলে রপ্তানি বাড়াতে হবে। আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অথচ আমাদের অর্থনীতি আমদানি নির্ভর। এখানে ৫৮ শতাংশ আমদানির বিপরীতে মাত্র ৪২ শতাংশ আসে রপ্তানি থেকে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি খাত আমদানির থেকে বেশি না হবে ততদিনই দেশের অর্থনীতি পরিপূর্ণ গতিশীলতা আসবে না। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে আমাদের রপ্তানিখাতগুলো উৎসাতি করতে হবে এবং রপ্তানীর চ্যালেঞ্জগুলো অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে তিনি বলেন, একজন মালিকের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান থাকে তার একটি প্রতিষ্ঠান খারাপ করলে দেশের আইনে সে আর কোন ব্যাংকে ব্যবসা করতে পারছে না। অন্যসব ব্যাংকের হিসাব নিয়মিত থাকলেও অন্য একটি হিসাব অনিয়মিত হওয়ায় সে আর ব্যবসা করতে পারছে না। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।