সোমবার বৈঠকে বসছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

0
409

খবর৭১ঃ
দূরত্ব ঘুচিয়ে ও ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসন করে ফের রাজপথে সক্রিয় হচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৈঠকে বসছেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। আগামীকাল সোমবার জেএসসি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় মিলিত হবেন তারা।

এ বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ ফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এর আগে আজ সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল কার্যালয়ে জোটের শরিক দলের নেতারা একদফা বসবেন। তবে এটিকে ‘অনানুষ্ঠানিক বৈঠক’ বলে দাবি করছে ঐক্যফ্রন্ট।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এ বৈঠকে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে জোটের শরিকদের মধ্যে নানা ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট, দূরত্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আলোচনা হতে পারে নতুন কর্মসূচি নিয়েও।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন এবং সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা জোটটি আটটি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বর্জন ও সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঐক্যফ্রন্ট। জোট শরিকদের না জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিএনপি ও গণফোরামের নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেন। এ নিয়ে ফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এসব কারণে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত আর মাঠে দেখা যায়নি তাদের।

জোট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা এবং বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যদের সংসদে যোগদান নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভেতরে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং জোটের আরেক শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর জোট ছাড়ার আলটিমেটামের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে। ফলে কার্যত থমকে দাঁড়ায় জোটের যাবতীয় কর্মকাণ্ড।

জানা গেছে, এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘদিন পর বৈঠকে বসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এর আগে তারা ঘরোয়াভাবে কয়েক দফা বসেছেন, কথাও বলেছেন নিজেদের মধ্যে। প্রথমে ১২ জুন বৈঠক ডাকা হলেও পরে তা এগিয়ে ১০ জুন নির্ধারণ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here