খবর৭১:কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর দলীয় সভাপতি হিসেবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া রাহুল গান্ধী এখনও তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন। এমন অবস্থায় তার উত্তরসূরি হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করতে কার্যনির্বাহী কমিটির আরেকটি বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই ওই বৈঠক হতে পারে। তবে রাহুলকে স্বপদে বহাল রাখা প্রশ্নে একেবারে হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন কংগ্রেস নেতারা। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে রাহুলকে অনুরোধ করার কথাও ভাবছেন তারা।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শোচনীয় পরাজয় হয়েছে রাহুলের দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ববর্তী লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার আসনসংখ্যা আরও বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। গতবার এককভাবে ২৮২ আসন পাওয়া এ দলটি এবার পেয়েছে ৩০৩ আসন। আর কংগ্রেস পার্টি আগেরবারের চেয়ে ৮টি আসন বেশি পেলেও পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার মতো প্রয়োজনীয় আসন পূরণ করতে পারেনি। পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য একটি দলকে মোট আসনের অন্তত ১০ ভাগ আসনে জিততে হয়। দলের এ শোচনীয় পরাজয়ের পর শনিবার (২৫ মে) বৈঠক করেছে কংগ্রেস পার্টির কার্যনির্বাহী কমিটি। এদিন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের প্রস্তাব দেন রাহুল। তবে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এরপরও রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন, দলীয় নেতাদের তার বিকল্প খুঁজে নিতে বলেছেন।
এ অবস্থায় সম্ভাব্য বিকল্প খুঁজতে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে, মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তার স্থলাভিষিক্ত করার কথা না ভাবতে দলীয় নেতাদের অনুরোধ করেছেন রাহুল। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, উত্তরসূরি বেছে নিতে দলীয় নেতাদের সময় দেবেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, দলের পরাজয়কে রাহুল ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন।
শনিবার থেকে দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না রাহুল। নির্ধারিত সব বৈঠক ও সাক্ষাৎ বাতিল করা হয়েছে। তবে দলের দু’জন প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে,সোমবার সকালে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আহমেদ প্যাটেল ও কেসি ভেনুগোপালকে বলেছেন, তার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত আছে। ফলে দলের জন্য নতুন প্রধান খুঁজতে হবে।