খবর ৭১ঃ সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় এবং নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় এই রমজানে সব ধরনের চালের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (০৪ মে) রাজধানীর মিরপুর ১নং সেকশন, কচুক্ষেত বাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি চালের আড়তগুলো ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম কমবে।
এ ব্যাপারে মেসার্স মামুন রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী হারুন-অর-রশিদ বলেন, প্রতিবছরই রমজান আসলে চালের চাহিদা কমে যায়। রমজানে লোকজন ভাত কম খায়। এছাড়া নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে চালের দাম কমবে।
বর্তমানে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং রমজানে চালের দাম কেজি প্রতি দুই থেকে চার টাকা কমবে বলে জানিয়েছেন মিরপুর ১নং সেকশনের মদিনা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বাপ্পি।
তিনি বলেন, নতুন চাল বাজারে আসছে। এতে করে পাইকারি বাজারে বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে যাবে। তাই রমজানে চালের বাজার স্থিতিশীল নয়; দাম কমবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২৮ চাল প্রতি বস্তা এক হাজার ৭০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট নতুন চাল দুই হাজার ২০০ টাকা বস্তা এবং পুরানটা দুই হাজার ৪০০ টাকায়, স্বর্ণা ৫০ কেজির বস্তা এক হাজার ৩৮০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গুটি চাল এক হাজার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বস্তা, ছবি: ডিএইচ বাদলবাপ্পি এও বলেন, পোলাওয়ের চাল প্রকারভেদে তিন হাজার ৯০০ টাকা থেকে চার হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
‘এছাড়া আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকামে দাম না বাড়লে, দাম বাড়াই না। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমালেও অনেক সময় তারা দাম না কমিয়ে বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করতে থাকেন।’
এদিকে, কচুক্ষেত বাজারের রজনীগন্ধা মার্কেটের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স রামগঞ্জ ট্রেডার্সের কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, রমজানে দাম বাড়বে না, বরং চাহিদা কম থাকায় চালের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এখনও নতুন চাল বাজারে পুরোদমে আসেনি। পুরানো চাল আরও মাসখানেক চলবে। এরমধ্যে নতুন চাল বাজারে আসলে, অতিদ্রুতই দাম কমবে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে শেওড়াপাড়ার খুচরা ব্যবসায়ী শহীদ স্টোরের স্বত্বাধিকারী শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহে যে দামে চাল বিক্রি হয়েছে, চলতি সপ্তাহেও তা বহাল রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দোকানে পর্যাপ্ত মজুত থাকার কারণে বাজার থেকে চাল আমদানি করা হয় না। এক্ষেত্রে বাজারে দাম কমলেও আগের দামেই চাল বিক্রি করতে হয়।