রোহিঙ্গাপ্রবণ এলাকায় ইউএনও-এর সুপারিশ ছাড়া ভোটার নয়: ইসি

0
653

খবর৭১ঃ সারা দেশে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে। আর এই কার্যক্রমকে সামনে রেখে দেশের রোহিঙ্গাপ্রবণ ৩২ উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব এলাকায় উক্ত কমিটির সুপারিশ ছাড়া কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বিদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে সেজন্য যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ইসি সচিব।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে। ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি নিয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মহিলারা যাতে তথ্য সংগ্রহ এবং রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন সেজন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আমরা সুপারিশ করেছি।’

ইসি সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা দশ আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের ছবি নিচ্ছি, সেহেতু চেষ্টা করবো স্মার্ট কার্ড দেয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামি ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করা হবে যেন আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ভোটার তালিকা সম্পর্কে অবহিত করে। কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা ছাত্র-ছাত্রী যারা আছেন তাদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী করতে হবে।’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘হিজড়ারা হিজড়া হিসেবেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন। আগের আইডি বাদ দিতে চাইলে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে হিজড়া সার্টিফিকেট এনে তা সংশোধনের সুযোগ পাবেন।’

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, আমাদের কর্মীরা যেন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা যেন এক স্থানে বসে বসে সেটা না করেন। তাদেরকে অবশ্যই সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।’

ইসি সচিব বলেন, ‘অনেক মহিলা ছবি তুলতে চান না। এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অবহিত করেছি, যাতে তাদেরকে প্রচারণামূলক সভা করে জানান যে, ছবি তুললে কোনও ক্ষতি হবে না। স্থানীয় পর্যায়ে যারা চেয়ারম্যান, মেম্বর, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর আছেন তারা যাতে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেন। এজন্য আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে চিহ্নিত ৬৫টি দুর্গম এলাকা আছে, সেখানে তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং যাওয়া-আসা সহজীকরণ এবং তাদের প্রত্যেকের পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’

ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অগ্রিম তথ্য সংগ্রহ করব, যাতে তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা অটোমেটিক্যালি ভোটার হয়ে যেতে পারেন।’

কমিশন সচিব বলেন, ‘মাননীয় আদালত কর্তৃক যে সমস্ত উপজেলার নির্বাচন বন্ধ ছিল সেখানে মে মাসের ৫ তারিখ নির্বাচন হবে। অনিয়মের কারণে যেগুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করবো।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here