খবর৭১ঃ সচেতনতা না থাকার কারণেই বার বার বনানীর মতো অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় মানুষের সচেতনতা জরুরি উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট ৪১ সংস্থা ও বিভাগের নীতিনির্ধারকরা।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘জনগণকে জানাতে হবে এমন পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়। সেগুলো প্রচার করতে হবে। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান করবে। আর জাতীয়ভাবে যেকোনও দুর্যোগ এলে আমাদের করণীয় নিয়ে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, অনেক ফায়ার এক্সিট বা জরুরি নির্গমণ পথে ইন্টেরিয়র সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অথবা সেখানে খালি জায়গায় যত মালামাল আছে সব ফেলে রাখা হয়। দুর্যোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর (ভবন) সঙ্গে সেখানে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার উদ্দেশে বলেন, ‘কে, কোথায় কাজ করেন, কী করেন, সেখানে নিরাপত্তা কতটুকু, সবাইকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। দুর্যোগ এলে নিজেকে রক্ষায় কী কী করণীয় জানতে হবে। নিজেদের বাঁচাতে প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, কিছুদিন আগে একটা বহুতল ভবনে আগুন লেগেছিল। সেখানে দেখা গেছে, ওই ভবনে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের মধ্যে কোনও সচেতনতা ছিল না। এমনকি সেখানে যে ফায়ার এক্সিট আছে সেটাও তারা জানতেন না। দুর্যোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যারা ব্যবহার করছেন তাদের মধ্যেও সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।