খবর৭১ঃ নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রথমবারের মতো কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ‘এমভি মধুমতি’। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাগলা ভিআইপি ঘাট মেরিএন্ডারসন থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করেপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর এই জাহাজটি যাত্রা শুরু করে ৩১ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে কলকাতায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী জাহাজ ‘এমভি মধুমতী’র যাত্রা শুরু সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জাহাজ ‘মেসার্স আরভি বেঙ্গল গঙ্গা’ কলকাতা থেকে নারায়ণগঞ্জের মেরি এন্ডারসনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এমভি মধুমতী বরিশাল, বাগেরহাটের মোংলা, সুন্দরবন, খুলনার আন্টিহারা ও ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে কলকাতা যাবে।
যাত্রাপথের প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ঢাকা থেকে ২৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে রওনা দিয়ে চাঁদপুর হয়ে ৩০ মার্চ ভোরবেলা বরিশালে বিরতি করবে এমভি মধুমতি। সেখান থেকে বাগেরহাটের মোংলায় কিছু সময়ের জন্য থামবে জাহাজটি। এরপর বাগেরহাট থেকে সুন্দরবনের ভেতরে যাবে। সুন্দরবন ঘুরে খুলনার কয়রার আন্টিহারার দিকে যাবে এই জাহাজ। সেখানে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। আন্টিহারা হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় যাবে। হলদিয়া থেকে সরাসরি কলকাতা প্রবেশ করবে মধুমতি। সবশেষ গন্তব্য কলকাতা নৌবন্দরে পৌঁছাবে ৩১ মার্চ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে। রবিবার কলকাতায় অবস্থান করে পরের দিন সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে এমভি মধুমতি।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই সেবা চালু হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিতভাবে নৌযান চলবে। পরবর্তীতে রুটটির পরিধি বাড়িয়ে উত্তর ভারতের আসামের গুয়াহাটি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এজন্য পরীক্ষামূলকভাবে সুন্দরবন, বরিশাল, চাঁদপুরের মতো আকর্ষণীয় এলাকার ওপর দিয়ে নৌযানগুলো ঘুরে ঘুরে যাবে।
বিআইডব্লিউটিসি তথ্য মতে, এমভি মধুমতিতে যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় ছয়শ। এর মধ্যে কেবিনগুলোতে ১৩০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন।
মধুমতীতে ভ্রমণের প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসি আরও জানিয়েছে, কেবিন ভাড়া ফ্যামিলি স্যুট (দুজন) ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি (যাত্রীপ্রতি) পাঁচ হাজার টাকা, ডিল্যাক্স শ্রেণি (দুজন) ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার প্রতিটি দুই হাজার টাকা এবং সুলভ ও ডিলাক্স শ্রেণির যাত্রীপ্রতি ভাড়া রাখা হবে দেড় হাজার টাকা। জাহাজে সকালের নাশতা, মধ্যাহ্নভোজ, বিকালের নাশতা ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এসব খাবার যাত্রীদের কিনে খেতে হবে। এছাড়া ভিসার ব্যবস্থাও যাত্রীদের নিজেদের উদ্যোগে করতে হবে। ভিসায় কোন পথে যাত্রীরা যাবেন এবং কলকাতা হয়ে আবারও ফেরত আসবেন তা উল্লেখ থাকতে হবে।